পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ: লবঙ্গে প্রচুর পরিমাণ খনিজ, প্রোটিন, শর্করা, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিড আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গ প্রাকৃতিক এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও সেরা।
বেদনানাশক: লবঙ্গে ব্যথানাশক গুণটি থাকে ইউজেনল অয়েল নামক একটি সক্রিয় উপাদানের উপস্হিতির কারণে যা দাঁতের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা যেমন দাঁতের ক্ষয় বা ফোঁড়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়া মাড়ির ব্যথা থেকেও এটি মুক্তি দেয়।
প্রদাহবিরোধী: লবঙ্গে উচ্চমাত্রায় ফ্ল্যাভোনয়েড থাকার কারণে এটি প্রদাহরোধী হিসেবে কাজ করে। এ্যারোমাথেরাপীবিদরা বাত বা গেঁটেবাতের চিকিৎসায় বিশুদ্ধ লবঙ্গ তেল ব্যবহার করেন। লবঙ্গ তেল যখন প্রশ্বাসের সাথে গ্রহণ করা হয়, তখন তা শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা যেমন কাশি, এ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, সাইনোসাইটিস ইত্যাদির প্রতিকারে এবং নাসারন্ধ্র পরিষ্কারে সাহায্য করে।
জীবাণুনাশক ও খিঁচুনীরোধী: জীবাণুনাশক হিসেবে লবঙ্গ ও লবঙ্গের তেল কাটা, জ্বলা, ছত্রাকীয় প্রদাহ ইত্যাদিতে কার্যকর প্রতিকার দেয়। আর খিঁচুনীরোধক হিসেবে লবঙ্গের তেল মাংসপেশীর খিঁচুনী থেকে মুক্তি দেয় যদি তা আক্রান্ত অংশে ব্যবহার করা হয়।
পরিপাকীয় সমস্যায় সাহায্যকারী: লবঙ্গ বিভিন্ন ধরণের পরিপাকীয় সমস্যা যেমন বদহজম, বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা ইত্যাদি সারিয়ে তুলতে যথেষ্ট কার্যকরী।
ক্যান্সাররোধী: গবেষকদের মতে, লবঙ্গ ফুসফুস এবং ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধেও যথেষ্ট কার্যকরী।
দেহের প্রতিরক্ষায় সাহায্যকারী: লবঙ্গ এবং লবঙ্গের তেল রক্ত পরিশোধনের মাধ্যমে দেহের অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা বাড়িয়ে দেয়।
মানসিক চাপ হ্রাসকারী: লবঙ্গের তেল উত্তম চাপ হ্রাসকারী। এটি মস্তিষ্ককে উদ্দীপ্ত করে এবং ক্লান্তি, হতাশা ও মানসিক বিধ্বস্ততা কমিয়ে দেয়। ইনসোমনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায়ও এটি পুরোপুরি সফল।
কান ও চোখের চিকিৎসায়: চোখের বিভিন্ন ধরণের প্রদাহের চিকিৎসায় লবঙ্গ তেল অনেক উপকারী। লবঙ্গ কানের ব্যথা দূরীকরণেও ব্যবহৃত হয়।
লবঙ্গ এমন একটি মসলা যা প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রাখা হয় এবং বহুবিধ গুণাবলীর কারণে যে কেউই এর থেকে নানাভাবে উপকৃত হতে পারে। তবে শিশু ও গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে লবঙ্গের তেল ব্যবহারের পূর্বে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে নেওয়াই উত্তম।
এখানে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার স্বত্ত্ব ও দায় লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত। আমাদের সম্পাদনা পরিষদ প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে এখানে যেন নির্ভুল, মৌলিক এবং গ্রহণযোগ্য বিষয়াদি প্রকাশিত হয়। তারপরও সার্বিক চর্চার উন্নয়নে আপনাদের সহযোগীতা একান্ত কাম্য।
যদি কোনো নকল লেখা দেখে থাকেন অথবা কোনো বিষয় আপনার কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়ে থাকে, অনুগ্রহ করে আমাদের কাছে বিস্তারিত লিখুন।